টেকসই উন্নয়ন কৌশল
দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ও স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করতে, ROOT বহুমুখী টেকসই কৌশল অনুসরণ করে—
সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা ও মালিকানা – সুবিধাভোগীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে দায়িত্ববোধ ও দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি তৈরি করা।
দক্ষতা উন্নয়ন ও আয় সৃষ্টির সুযোগ – নারীদের ও যুবসমাজকে জীবিকা নির্বাহের দক্ষতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া, যাতে তারা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে পারে।
অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা – সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সাথে কাজ করে সম্পদ সংগ্রহ ও কর্মসূচির বিস্তৃতি নিশ্চিত করা।
পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন – সামাজিক বনায়ন প্রকল্প, পানি সংরক্ষণ কর্মসূচি এবং পরিবেশবান্ধব অভ্যাসের প্রচার করা।
আর্থিক স্থিতিশীলতা – ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, দাতা নেটওয়ার্ক এবং স্ব-নির্ভর ব্যবসায়িক মডেল গড়ে তোলা, যাতে বাইরের তহবিলের উপর নির্ভরশীলতা কমে।
শিক্ষার বিস্তৃতি – আরও অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কেন্দ্র, পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও ডিজিটাল লার্নিং হাব প্রতিষ্ঠা করা।
স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশগম্যতা – সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য মোবাইল স্বাস্থ্যসেবা ও টেলিমেডিসিন চালু করা।
নারী ও শিশু ক্ষমতায়ন – লিঙ্গভিত্তিক কর্মসূচি, শিশু যত্ন সহায়তা এবং নারীদের জন্য আর্থিক স্বাক্ষরতা প্রশিক্ষণ শক্তিশালী করা।
প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন – শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্যসেবায় ডিজিটাল সমাধান একীভূত করে প্রসার ও কার্যকারিতা বাড়ানো।
পরিবেশ ও সামাজিক কল্যাণ – পুনরায় বনায়ন প্রকল্প, স্যানিটেশন সুবিধা সম্প্রসারণ এবং জলবায়ু সহনশীলতা বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা।
আইনি সহায়তা ও অধিকার সুরক্ষা – মানবাধিকার, আইনি সহায়তা এবং নীতিনির্ধারণ সংক্রান্ত উদ্যোগ শক্তিশালী করা।
ROOT-এর অতিরিক্ত টেকসই উন্নয়ন কৌশল
সামাজিক ব্যবসা মডেল – সামাজিক উদ্যোগ ও ন্যায্য বাণিজ্য পণ্য তৈরি করে সামাজিক কার্যক্রমের জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করা।
পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো উন্নয়ন – টেকসই উপকরণ ও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি স্পেস তৈরি করা।
স্বেচ্ছাসেবক ও ইন্টার্নশিপ কর্মসূচি – সামাজিক কার্যক্রমে সহায়তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক ও শিক্ষানবিসদের নেটওয়ার্ক তৈরি করা এবং ভবিষ্যৎ নেতাদের গড়ে তোলা।
টেকসই অর্থায়ন ব্যবস্থা – দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য তহবিল গঠন, ক্রাউডফান্ডিং ও কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব (CSR) অংশীদারিত্বের সুযোগ তৈরি করা।
প্রভাব মূল্যায়ন ও উন্নয়ন – ডেটা-ভিত্তিক মূল্যায়ন ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার মাধ্যমে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং কার্যক্রমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা।