হরিজন সম্প্রদায়ের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি
Project Overview:
বাংলাদেশের হরিজন সম্প্রদায়ের প্রায়শই পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা ও সচেতনতার অভাবে ভুগে থাকে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ROOT প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রকল্পটি তাদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, পরিচ্ছন্নতা, এবং রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করতে কাজ করে।
Objectives:
হরিজন সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া
পুষ্টি ও পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা
স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সাথে জনগণের সংযোগ স্থাপন করা
Key Activities:
স্বাস্থ্য ক্যাম্প: বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ওষুধ বিতরণ, এবং পরামর্শ প্রদান
কর্মশালা ও সেমিনার: সাধারণ রোগ প্রতিরোধ, প্রাথমিক চিকিৎসা, এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারার উপর প্রশিক্ষণ
পুষ্টি সচেতনতা: স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রয়োজনীয়তা ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনা
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম: হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার, ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন
স্থানীয় নেতৃত্ব বিকাশ: প্রশিক্ষিত কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ এবং স্থানীয় চিকিৎসকদের সম্পৃক্তকরণ:-
Expected Impact:
স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভুল ধারণা দূর হবে এবং সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার প্রসার ঘটবে
অপুষ্টিজনিত ও সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা যাবে
দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের হার বৃদ্ধি পাবে—
2. কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্য: স্কুলের বালিকাদের মধ্যে ন্যাপকিন সচেতনতা বৃদ্ধি
Project Overview:
বাংলাদেশে এখনো অনেক মেয়েশিশু তাদের মাসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান পায় না, যার ফলে তারা অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতি অনুসরণ করতে বাধ্য হয়। এটি তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে এবং বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হারও কমিয়ে দেয়। ROOT-এর এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো স্কুলের বালিকাদের মধ্যে মাসিক স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা, এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
Objectives:
স্কুলগামী বালিকাদের মধ্যে মাসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি
স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ ন্যাপকিন ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তোলা
মাসিক সংক্রান্ত সামাজিক ট্যাবু দূর করা
স্কুলে বালিকাদের উপস্থিতির হার বাড়ানো
Key Activities:
শিক্ষামূলক কর্মশালা: স্কুলে বিশেষ ক্লাস নিয়ে মেয়েদের মাসিক স্বাস্থ্যসেবা, পরিচ্ছন্নতা, এবং পুষ্টি সম্পর্কে শেখানো
স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ: শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যকর ন্যাপকিন বিতরণ
শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রশিক্ষণ: মাসিক বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্পৃক্তকরণ
হেলথ ক্যাম্প ও পরামর্শ সেবা: গাইনি বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে স্কুলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পরামর্শ প্রদান
স্বাস্থ্যবান্ধব টয়লেট ও পানির ব্যবস্থা: বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ টয়লেট ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ
Expected Impact:
বালিকারা তাদের মাসিক সম্পর্কে স্বাস্থ্যকর ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলবে
মাসিকজনিত অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস কমবে
স্কুলের উপস্থিতির হার বৃদ্ধি পাবে
সমাজে মাসিক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং সামাজিক কুসংস্কার কমবে
ROOT এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রয়োজনে আরও তথ্য যোগ করা যেতে পারে!